দেশের সরকারি বেসরকারি স্কুলে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষার্থী ভর্তিতে কোনো পরীক্ষা নেয়া যাবে না। শুধুমাত্র লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। সরকারি স্কুলগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত ভর্তির লটারিতে অংশ নেবে। আর ঢাকা মহানগরসহ বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় লটারির আয়োজন করা হবে। ঢাকার কোনো বেসরকারি স্কুল চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বনুমতি নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লটারির আয়োজন করতে পারবে। মেট্রোপলিটন ও জেলা সদরের স্কুলগুলো ছাড়া অন্যান্য বেসরকারি স্কুলেও ভর্তির লটারি আয়োজন করা হবে। এ ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালা অনুসারে ভর্তি কমিটির প্রতিনিধির উপস্থিতিতে লটারি কার্যক্রমের আয়োজন করতে হবে।

সোমবার বিকেলে প্রকাশিত সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির অনলাইনে আবেদন আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করা যাবে। ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি ও ১৩ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় বছরের বেশি। ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে  (http://gsa.teletalk.com.bd) প্রবেশ করে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ভর্তির জন্য কোনো ফরম বিতরণ করা হবে না। ভর্তির আবেদন ফিয়ের ১১০ টাকা শুধুমাত্র টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। 

সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি আয়োজন নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্ৰীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে সারাদেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অংশগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া নিস্পন্ন করা ছাড়া অন্য কোন পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না। 

বেসরকারি স্কুলের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা আবেদনের সময় শিক্ষার্থীরা পাবেন। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত ভর্তি কমিটির মাধ্যমে লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ার বাইরে ঢাকা মহানগরীর যেসব প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করবে তাদেরকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হবে এবং লটারি অনুষ্ঠানের দিন অবশ্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরী ছাড়া কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ার বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত (ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী) ভর্তি কমিটির প্রতিনিধির উপস্থিতিতে লটারি কার্যক্রমের আয়োজন করতে হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া ছাড়া অন্য কোন পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।